নিউজ ডেস্ক: শ্বশুরবাড়িতে এসে গরুর মাংস দিয়ে ভুরিভোজ করায় যারা বিরোধিতা করেছেন তাদের একহাত নিলেন জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।
বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে গরুর মাংস খাওয়ার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম নিজেই জানান সৃজিত। এরপর তার ওপর ক্ষুব্ধ হন অনেক ভারতীয়। তবে অনেকেই তার প্রশংসাও করেছেন।
চলতি মাসে কলকাতার জনপ্রিয় এই নির্মাতা বিয়ে করেছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে। বিয়ের পর তার হানিমুনে যান জেনেভায়। হানিমুন সেরে সরাসরি বাংলাদেশে পাড়ি দেন সৃজিত-মিথিলা।
প্রথমবার শ্বশুরবাড়িতে জামাই আদর পেয়ে বেজায় খুশি ছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন শ্বশুরবাড়ির বাহারি রান্নার ছবি। মেনুতে ছিল ঝিরি ঝিরি আলুভাজা, লটে শুঁটকি, পাবদা মাছ, মুরগির ঝোল এবং বাঁধাকপি দিয়ে গরুর গোস্ত।
ক্যাপশনে সৃজিত লেখেন, ‘শ্বশুরবাড়ির প্রথম অফিসিয়াল ভুরিভোজ…।’
এরপর সৃজিতের এই টুইটকে ঘিরেই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। তবে সৃজিতের অনুরাগীদের বেশিরভাগই শ্বশুরবাড়ির সুস্বাদু খাবারের প্রশংসা করেছেন।
কেউ কেউ অবশ্য সমালোচনাও করেছেন। সৃজিতকে উদ্দেশ্য করে একজন লেখেন, ‘হিন্দু নামের কলঙ্ক আপনি। আগে আপনাকে (সম্মান) করতাম। কিন্তু এই পোস্ট পড়ার পর থেকে আপনাকে ঘৃণা করি। আপনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করুন। আই হেট ইউ।’
অবশ্য সেই টুইটার ব্যবহারকারীকে ছেড়ে কথা বলেননি সৃজিত। তিনি পাল্টা লেখেন, ‘হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা আপনার মতো অশিক্ষিতের মুখে বেমানান। ঋক বেদ, মনুস্মৃতি ও গৃহসূত্রর কিছু শ্লোক দেব খাওয়াদাওয়া নিয়ে, রোজ সকালে কান ধরে ছাতে দাঁড়িয়ে মুখস্থ করবেন। ভদ্রভাবে বোঝালাম, নয়তো মনে রাখবেন বাইশে শ্রাবণের সংলাপ কিন্তু আমারই লেখা।’
এরপরই সৃজিতের ফ্যানেরা তার প্রশংসায় ফেটে পড়েন। কেউ লেখেন, ‘আমি আমার কষ্টার্জিত টাকায় গরুর মাংস খেলাম না কুমিরের মাংস খেলাম না অ্যাভোকাডো খেলাম সেটা তো আমার ব্যাপার।’
অনেকের মতে, ‘ভাই, তোমাকে হিন্দু ধর্ম নিয়ে পাঠ উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ভালমতো দিয়েছেন এ নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে একটা পরামর্শ নাও। যে ব্যক্তিকে ঘৃণা করবে, সমালোচনা করবে তার সমতুল্য জ্ঞানী হবে বা তার জ্ঞানের ছিটেফোঁটা অর্জন করে আসবে। নইলে উল্টো বাঁশ সামলানো বেশ কষ্টকর।’
যদিও সৃজিতের বক্তব্যের বিরোধিতাও করেছেন কয়েকজন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আপনার যা ইচ্ছা আপনি খেতেই পারেন। কিন্তু বেদ-এ এসব কিছু লেখা নেই। দয়া করে বেদ নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াবেন না।’