1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সিভি জমার মধ্য দিয়ে ফ্রান্স বিএনপি নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হতাশা প্রকাশ ভারতের রহস্যজনক মৃত্যু ‘কাটা লাগা’খ্যাত শেফালির আবারো ইরান হামলার হুমকি ট্রাম্পের! ষড়যন্ত্র আর নোংরামি আর যেসব অভিযোগ এনে ‘বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম’ ছাড়লেন উমামা প্যারিসে বর্ণিল আয়োজনে স্বরলিপি শিল্পী গোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর বৈশাখী মেলা ফ্রান্সে স্থায়ী হওয়ার দারুণ সুযোগ, দেখুন আবেদন প্রক্রিয়া ফ্রান্সের সিনেট ভবন পরিদর্শনে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দল ফ্রান্স বিএনপির আয়োজনে শহীদ জিয়ার ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন সাফ আয়োজিত প্যারিসে ৬ষ্ঠ বারের মতো বাণিজ্য মেলা ‘ঈদ বাজার ২০২৫’

কুলাউড়া হাসপাতাল ডেন ধু ধু মরুভূমি

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০২০

নিউজ ডেস্ক: কোথাও কেউ নেই। চারদিকে যেন কবরের নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। ৫০ শয্যা হাসপাতালের বেডগুলো এখন ধু ধু মরুভূমি। নার্স- ডাক্তাররা অলস সময় পার করছেন। একদিকে করোনার আতঙ্ক অন্যদিকে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে হাসপাতালমুখো হচ্ছেন না কোনো রোগী। এটি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র।

সরেজমিন বুধবার আড়াইটায় হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগ ও বর্হিবিভাগ জনশূন্য। বুধবার মাত্র ৯ জন রোগী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে কোনো রোগীকে পাওয়া যায়নি। আর মহিলা ওয়ার্ডে মাত্র দু’জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এক মহিলা রোগী শরীরে রক্তশূন্যতার কারণে হাসপাতালে ১৮ মার্চ ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের দিখলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া অলি উদ্দিন নামে আড়াইমাসের এক শিশু ছেলে ঠাণ্ডাজনিত রোগ (নিউমোনিয়ায়) আক্রান্ত হয়ে ২০ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা মসু মিয়ার ছেলে। শিশু ছেলেকে বুকে আগলে রেগে বাবা হাসপাতালের ওয়ার্ডে হাঁটাহাঁটি করছেন।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুটির বাবা মসু মিয়া বলেন, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে আত্মীয় স্বজন কেউই তাঁর শিশু ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে আসেনি। রোগীশূন্য হাসপাতালে একমাত্র শিশুপুত্রকে নিয়ে অনেকটা ভয়ে আছেন। শিশুটি কিছুটা সুস্থ হলেই হাসপাতাল থেকে চলে যাবেন তিনি।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিনিয়ত যেখানে হাসপাতালের বিভিন্ন ধরনের রোগীদের জায়গা দিতে হিমশিম খেতে হয়। বর্তমানে করোনাভাইরাস আতঙ্কে প্রায় সপ্তাহ খানেক সময় ধরেই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের খবর শোনার পর জনমনে আতঙ্ক বেড়ে গেছে অনেকটা। সেক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই হাসপাতালে আসতে চাচ্ছেন না। দিনে আউটডোরে ৩০-৪০ রোগী চিকিৎসকদের পরামর্শ নিলেও অনেকে ভয়ে ভর্তি হতে হচ্ছেন না। স্বাভাবিকভাবে জ্বর, সর্দি ও কাশি রোগীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন ।

কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক বলেন, মানুষ দেরিতে হলেও এখন কিছুটা সচেতন হচ্ছে। করোনা আতঙ্কের ভয়ে বাড়ি থেকে কেউ বের হতে না পারলেও আমাদের স্থানীয় ডাক্তারদের মাধ্যমে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার জন্য আমরা পরামর্শ দিচ্ছি। বর্তমানে হাসপাতালে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এটা সত্য যে, এখন করোনা আতঙ্কে রোগীশূন্য রয়েছে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys