নিউজ ডেস্ক: নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে ডিবি পুলিশের কার্যালয় থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। রাত ১২.৪০ মিনিটে তাকে তার পরিবারের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়। এসময় “ভিপি নুর ভয় নাই, রাজপথ ছাড়িনায়”,” হামলা-মামলা” হুলিয়া, নিতে হবে তুলিয়া”, বলে দলীয় নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন।
মুক্তির পরে ভিপি নুর বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম কিন্তু হঠাৎ পুলিশ কেন আমাদের ওপর হামলা করেছে সেটা বুঝতে পারিনি। রড, কাঠ এসব দিয়ে ফিল্মি স্টাইলে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় হামলা-মামলার শিকার হই, কিন্তু দেশে যা ঘটে তাতে দেখা যায় রাষ্ট্রের কোন অঙ্গের সাথে কোন অঙ্গের মিল নাই। এ কারণেই দেখা যায় একজন মারে, (অন্য) একজনকে গ্রেফতার করে, আরেক জন ছাড়ে, এটাই চলতেছে। আমি আগেও বলছি এদেশে বিচার নাই, আইনের শাসন নাই, গণতন্ত্র নাই। সুতরাং আমার বিচার হচ্ছে জনগণের কাছে। আমরা তো কোন অপরাধী না, আমরা ছাত্রনেতা। আমরা মাইর খেলাম, শার্ট ছিঁড়ে গেলো। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে চলে যাচ্ছিলাম। কোনো প্রকার উস্কানি ছাড়া পুলিশ কেন আক্রমণ করল তা বুঝতে পারিনি। মোট কথা আপানারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমাদের কয়েকজনকে এখন চিকিৎসা দিতে হবে। আসলে মোটকথা আমরা বুঝতে পারিনি কি কারণে আমাদের ধরে আনা হলো এবং কি কারণে ছেড়ে দেয়া হলো। যেটা মনে হচ্ছে মানুষকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য এরকম গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিবি কার্যালয়ে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নুর বলেন, ডিবি কার্যালয়ে যারা ছিলেন তারা খুব ভালো ব্যবহার করেছেন। কিন্তু আধা-মরাতো আমাদের রাস্তা থেকেই করছে। রাস্তায় আনার সময়ই তো আমাকে মারছে। সিনেমার স্টাইলে জাম্প করে আমাকে কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারা হয়েছে। আমি বলেছি আমি এখান থেকে আমার নেতাকর্মীদের রেখে পালাবো না। তখন পেছন থেকে পুলিশ বলছিল ওই যে নুর যাচ্ছে, ওর উপরে হামলা কর।
এদিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদ।
উল্লেখ্য, নুর সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ২৮ বছর বাদে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে তিনি ভিপি নির্বাচিত হন।