1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন

ইতালিতে বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০

নিউজ ডেস্ক: ইউরোপজুড়ে চলছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। তবে ইউরোপের দেশ ইতালিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে ইতালি সরকার। সেইসঙ্গে বিনা কারণে ঘর হতে বের হতে নিষেধ করেছে।

জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৯৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। আর ভেনিসসহ পুরো ইতালিতে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ভাইরাসে মারা যান ২ হাজার ১৫৮ জন। তবে সুস্থ হয়েছেন মোট ২ হাজার ৮৫৩ জন।

এদিকে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ফার্মেসী, সুপার মার্কেট, আলিমেন্টারী ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে। অন্যদের পাশাপাশি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় বিপুল অংকের টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি বেকার হয়ে গেছেন বহু বাংলাদেশি।
ইতালীয়ানসহ প্রবাসী বাংলাদেশি সকলেই এ ভাইরাসের জন্য ঘরে বন্দি জীবনযাপন করছেন। বাচ্চারাও বের হতে পারছে না। করোনা আতঙ্কে এখানকার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি রাস্তায় বিনা কারণে যেনো কেউ না বের হয় সে জন্য প্রশাসন কঠোর দৃষ্টি রাখছেন। বিনা কারণে ঘর হতে বের হওয়ায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জনকে জরিমানা করা হয়েছে। সবাই আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে।

অপরদিকে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে স্পেন, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল, জার্মান, সুইজারল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেসব দেশগুলোর মধ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও রয়েছেন আতঙ্কে।

সুইজারল্যান্ডের জুরিখে বসবাসরত সুলতানা খান জানান, সেখানে করোনাভাইরাসের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘর হতে বের হতে পারছি না ভয়ে।

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বসবাসরত মো: মনির হোসেন জানান, স্ত্রী- সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটও ফাঁকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys