1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:০২ অপরাহ্ন

ইউরোপের সিমান্ত খুলে দিয়েছে তুরস্ক

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নিউজ ডেস্ক: ইউরোপগামী সিরীয় শরণার্থীদের থামাবে না তুরস্ক। উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে সিরীয় সরকারি বাহিনীর হামলায় ৩৩ তুর্কিশ সেনা নিহত হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশটির এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে- তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান এর আগেও কয়েকবার ইউরোপকে শরণার্থী ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়ার ইদলিবে তুরস্কের সেনাঘাঁটিতে বাশার আল-আসাদ বাহিনীর হামলায় ৩৩ তুর্কি সেনা নিহতের পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত আট বছর ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

তুরস্কের সেনাঘাঁটিতে হামলার পর শুক্রবার এর্দোয়ানের দলের মুখপাত্র ওমর কেলিক বলেন, তুরস্কের পক্ষে শরণার্থীদের ‘আর ধরে রাখা সম্ভব না।’

সিএনএন তুর্ককে তিনি বলেন, ‘ওই হামলার কারণেই তুরস্কের শরণার্থীরা ইউরোপে রওয়ানা হয়েছে। এছাড়া যেসব শরণার্থী এখনো সিরিয়ায় আছে, তারাও তুরস্কে আসতে শুরু করেছে।

‘আমাদের শরণার্থী নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি, সেটা আগের মতোই আছে। কিন্তু এখন আমরা এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি যে, আমাদের পক্ষে আর তাদের ধরে রাখা সম্ভব না।’

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই প্রায় তিন শ শরণার্থী তুরস্কের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের দিকে রওয়ানা হয়েছে বলে জানায় ডিএইচএ নিউজ।

শরণার্থীদের ওই দলে নারী ও শিশুরাও আছে। তারা তুরস্কের এর্দিনে প্রদেশ থেকে রওয়ানা হয়ে বুলগেরিয়া ও গ্রিস সীমান্তের দিকে যাচ্ছে। শরণার্থীদের দলে সিরীয়, ইরানি, ইরাকি, পাকিস্তানি এবং মরোক্কানরা আছেন।

২০১৫ সালে ইউরোপমুখী শরণার্থীর ঢল নামার পর তাদের আটকাতে তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওই চুক্তির আওতায় তুরস্ক প্রায় ৩৬ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।

তারপর থেকে ইউরোপের সঙ্গে যে কোনো দরকষাকষিতে এর্দোয়ান নিয়মিতই ‘শরণার্থীদের ছেড়ে’ দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys