নিউজ ডেস্ক: অর্ধাহারে দিন কাটছে ব্রিটেনে বাসিন্দাদের একাংশের! সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। কস্ট অফ লিভিং বা জীবনধারণের খরচ বেড়েছে অনেকটাই। তাই খরচ কমাতে অনেকেই একবেলা না খেয়ে কাটাচ্ছেন। নয়তো চাহিদা মতো পুষ্টিপূরণ হচ্ছে না তাদের। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সম্প্রতি ব্রিটেনের কনজিউমার গ্রুপ ‘হুইচ?’ ৩ হাজার জনের উপর একটি সমীক্ষা চালায়। তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গৃহীত নমুনার ৮০ মানুষ মনে করছে মূল্যবৃদ্ধির জেরে স্বাস্থ্যকর থাবার জোগার কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে অনেককেই একবেলা খাবার জোগার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনে খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া। যার জেরে নয়া প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের আমলে সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের মুদ্রাস্ফিতী ১০ শতাংশ পেরিয়েছে। এদিকে সে দেশের ফুড ফাউন্ডেশন বলছে, ব্রিটেনে জীবনযাত্রার সংকট গভীর হওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে প্রত্যেক পাঁচটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে অন্তত একটি পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
কনজিউমার গ্রুপ ‘হুইচ?’ এর ফুড পলিসির প্রধান সুই দাভিস দাবি করেছেন, “জীবনধারনের খরচ বৃদ্ধির খুব খারাপ প্রভাব পড়ছে। খরচ বাড়তে থাকায় হয় লক্ষাধিক মানুষ অর্ধাহারে থাকছে অর্থাৎ একবেলা খাবার খাচ্ছে না। কেউ কেউ আবার চাহিদামতো পুষ্টিকর খাবার জোগার করতে পারছে না।” অন্যদিকে, জ্বালানি নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছে ব্রিটেনে। সবমিলিয়ে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেশ জটিল।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে সবার আগেই কর্পোরেট ট্যাক্স কমান ট্রাস। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় থাকাকালীন এই কর বাড়ানোর পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন ঋষি। কিন্তু ট্রাসের করছাড়ের ঘোষণা করার পরেই বিশ্ববাজারে ঐতিহাসিক ভাবে কমে যায় পাউন্ডের দাম। তাছাড়াও, সাধারণ মানুষের কর কমানোর কোনও ঘোষণা করেনি ট্রাসের সরকার। ফলে প্রশ্ন উঠে যায় তাঁর নীতি নিয়ে। এরমধ্যেই প্রকাশ্যে এল এই সমীক্ষার রিপোর্ট। যা নিসন্দেহে ব্রিটেনের সরকারের উপর আরও চাপ তৈরি করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল।